Sarodiya Kalash Protistha
শারদীয়া নবরাত্রি পূজা, কালাশ স্থাপন বিধি ও মন্ত্র: শারদীয়া নবরাত্রি হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা দেবী দুর্গার পূজা ও আরাধনার জন্য পালিত হয়। এই উৎসবটি আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত পালিত হয়, যা সাধারণত সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে পড়ে।
শারদীয়া নবরাত্রির সময়, দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়, যারা শক্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। 2024 সালে, শারদীয়া নবরাত্রির উত্সবটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই উৎসব আমাদের মা দুর্গার আশীর্বাদ পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। শারদীয়া নবরাত্রির সময় , লোকেরা তাদের বাড়িতে ঘট স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করে এবং দেবী দুর্গার পূজা করে । কিন্তু আপনি কি জানেন শারদীয়া নবরাত্রি প্রতিষ্ঠার শুভ সময় কী? আপনি কি জানেন ঘাট স্থাপনের পদ্ধতি কী এবং এতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়? এই প্রবন্ধে, আমরা শারদীয়া নবরাত্রির গুরুত্ব বুঝব এবং এর পূজা পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করব।
আমরা আপনাকে বলব ঘট স্থাপনের জন্য শুভ সময় কী, ঘট স্থাপনের পদ্ধতি কী, কলশ স্থাপনের পদ্ধতি কী? পঞ্চোপচার পূজা কিভাবে করা হয়? তো চলুন শারদীয়া নবরাত্রি সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেওয়া যাক…
শারদীয়া নবরাত্রি কি?
শারদীয়া নবরাত্রি, মহা নবরাত্রি নামেও পরিচিত, হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান উৎসব। উত্সবটি আশ্বিন মাসে উদযাপিত হয়, যা সাধারণত সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে পড়ে, যখন বর্ষা বৃষ্টি কমে যায় এবং দেশ ফসল কাটার মৌসুমে চলে যায়। এই সময়ে, সমগ্র ভারতে, দেবী দুর্গার মহিমা অত্যন্ত উত্সাহের সাথে পালিত হয়, যিনি মহিষাসুরকে পরাজিত করেছেন। শারদ নবরাত্রি মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের অনুপ্রেরণা প্রদান করে। এই উৎসবের মহিমা এবং ঐশ্বরিকতা প্রতিটি হৃদয়ে গভীরভাবে অঙ্কিত, এটি সমাজকে শক্তি, সমৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ শান্তির দিকে অনুপ্রাণিত করে।
শারদীয়া নবরাত্রি ঘটস্থাপনা মুহুর্ত
এই বছর 2024, শারদীয়া নবরাত্রির সময়, ঘট স্থাপনার শুভ সময় সকাল 6:19 থেকে 7:23 পর্যন্ত। এই সময়টি দেবী দুর্গার পূজার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যখন ভক্তরা তাদের বাড়িতে কলশ স্থাপন করে এবং নবদুর্গার আশীর্বাদ চান। এই শুভ সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।
শারদীয়া নবরাত্রি পূজা বিধি
শারদীয়া নবরাত্রি পূজা পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য আটটি পয়েন্টে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে:
- স্নান এবং কাপড় পরিধান: পূজা শুরু করার আগে, ভক্তদের স্নান করা উচিত এবং পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ পোশাক পরিধান করা উচিত। শারদীয়া নবরাত্রির সময় লাল বা মেরুন রঙের পোশাক পরা বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়, কারণ এটি দেবী দুর্গার শক্তির প্রতীক।
- উপাসনালয় তৈরি: উপাসনাস্থল গঙ্গাজল দিয়ে পরিষ্কার ও শুদ্ধ করা হয়। মা দুর্গার প্রতিমা বা ছবি লাল কাপড় বিছিয়ে পবিত্র করা হয়। এছাড়াও, জল, নারকেল এবং আম পাতা একটি কলাশে স্থাপন করা হয় এবং পূজার স্থানে স্থাপন করা হয়।
- মন্ত্রের জপ: পূজার শুরুতে, দেবী দুর্গার পবিত্র মন্ত্র যেমন “ওম সর্বমঙ্গল মঙ্গলে শিবে সর্বার্থ সাধিকে” এবং “শরণগতদিনারতাপরিত্রাণপরায়ণ” জপ করা হয়, যা পবিত্র এবং ইতিবাচক শক্তিতে পরিবেশকে পূর্ণ করে।
- ষোড়শপচার পদ্ধতি: ষোড়শপচার পদ্ধতির অধীনে, দেবী দুর্গাকে 16টি ধাপে পূজা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আমন্ত্রণ, আসন, পদ্য, অর্ঘ্য, আচমন, স্নান, বস্ত্র, গয়না, চন্দন, রোলি, কাজল, ফুল, ধূপ, প্রদীপ এবং নৈবেদ্য।
- আরতি: পূজা শেষে মা দুর্গার আরতি করা হয়। আরতির সময়, ধূপ, প্রদীপ এবং নৈবেদ্য দেওয়া হয়, যা ভক্তি ও শ্রদ্ধার প্রতীক। আরতির পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
- উপবাসের গুরুত্ব: নবরাত্রির সময় উপবাস পালনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে ভক্তদের কাছে। অনেক ভক্ত ফল বা শুধুমাত্র দুধ খান, আবার কেউ কেউ সম্পূর্ণ উপবাস পালন করেন। এই উপবাস ভক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক।
- সাত্ত্বিক খাবার: রোজ সন্ধ্যায় সাত্ত্বিক খাবার দিয়ে উপবাস শেষ করা হয়। এই খাবারটি খাঁটি এবং সহজ, যাতে আমিষ, রসুন এবং পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয় না।
- নিয়ম অনুসরণ করুন: শারদীয়া নবরাত্রির সময় আমিষ জাতীয় খাবার, অ্যালকোহল এবং তামাক খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নিয়মগুলি মেনে চললে পূজার পরিবেশ শুদ্ধ ও ঐশ্বরিক থাকে, যার ফলে মা দুর্গার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
ঘটস্থাপনা সময়
শারদীয়া নবরাত্রিতে ঘট স্থাপনের উপযুক্ত সময় হল ভোর। সকালে বিশেষ করে অভিজিৎ মুহুর্তে এই শুভ কাজটি করা শুভ বলে মনে করা হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে ঘট প্রতিষ্ঠার সময় নির্ধারণ করা হয়, যাতে পূজা অনুষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে সফল ও ফলপ্রসূ হয়। এটা মনে রাখা জরুরী যে আপনি যদি সকালে ঘটস্থাপনা করতে না পারেন তবে আপনাকে অবশ্যই দুপুর ১২টার আগে ঘটস্থাপনা করতে হবে।
শারদীয়া নবরাত্রি ঘটস্থাপনা সমগ্রী
শারদীয়া নবরাত্রির জন্য ঘটস্থাপনা পূজা সামগ্রীর তালিকা নিম্নরূপ:
1. কালাশ
2. গঙ্গার জল
3. মলি
4. রোলি
5. অক্ষত
6. মুদ্রা
7. গম বা অক্ষত
8. আমের পাতা পল্লব (5টি আমের পাতার নাগেটস)
9. মাটির পাত্র
10. বিশুদ্ধ মাটি
11. মাটিতে রাখার জন্য একটি পরিষ্কার কাপড়
12. কালভা
13. গম বা বার্লি
14. পিতল বা মাটির প্রদীপ
15. ঘি
16. কটন উইক
17. সিন্দুর
18. লাল কাপড়
19. নারকেল সঙ্গে কয়ার
কালাশ নির্মান
নবরাত্রির সময় কলশ তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার, যা শুভ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। কলশকে ভগবানের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে জল, নারকেল, আম পাতা, সুপারি, মুদ্রা এবং দূর্বা ঘাস ইত্যাদি স্থাপন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্থাপন করা হয় । জলে ভরা একটি পাত্র জীবন এবং বিশুদ্ধতার প্রতীক, এবং দেব-দেবীদের আবাহনের প্রতীক। কালাশ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল উপাসনালয়কে পবিত্র ও ইতিবাচক শক্তিতে পূর্ণ করা।
গঙ্গাজল, সুপারি এবং নারকেলের মতো কলাশের ভিতরে রাখা বিভিন্ন উপাদান দেবীর আশীর্বাদ ও আশীর্বাদ পেতে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। নবরাত্রির সময়, কলশ মন্দিরে 9 দিন ধরে রাখা হয় এবং পূজা করা হয়, যা বাড়িতে এবং পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
কলশ স্থাপনা বিধান অর মন্ত্র
নবরাত্রির সময় কলশ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতিটি নিম্নরূপ 7টি পয়েন্টে বোঝা যায়:
- বার্লি বপনের প্রক্রিয়া: প্রথমে একটি বড় মাটির পাত্র নিন এবং তাতে কিছু মাটি দিয়ে বার্লি বীজ ছড়িয়ে দিন। তারপরে আরও মাটি যোগ করুন এবং উপরে বীজ রাখুন। এর পরে, পাত্রে পর্যাপ্ত জল যোগ করুন যাতে বার্লি ভালভাবে অঙ্কুরিত হতে পারে।
- কলশ তৈরি: একটি মাটির কলশ নিন এবং তাতে পবিত্র গঙ্গার জল ভরে দিন। এতে সুপারি, মুদ্রা, সুগন্ধি, দূর্বা ঘাস এবং অক্ষত যোগ করুন। এই সমস্ত উপকরণের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে।
- মৌলি ও তিলক: কলশের গলায় এবং যব যুক্ত পাত্রে মৌলি (রক্ষা সূত্র) বেঁধে উভয়ের গায়ে তিলক লাগান। এতে পূজায় পবিত্রতা ও শুভতা আসে।
- আম পাতার ব্যবহারঃ কলশের চারপাশে পাঁচটি আমের পাতা বৃত্তাকার আকারে সাজান। এই পাতাগুলি ইতিবাচক শক্তি এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।
- নারকেল স্থাপন: একটি নারকেল নিন, লাল কাপড়ে বা চুন্নিতে মুড়িয়ে কিছু টাকা সহ মৌলির সাথে বেঁধে দিন। কলাশের ঢাকনায় নারকেল বসান।
- কলশ ও নারকেল স্থাপন: প্রথমে বার্লিযুক্ত পাত্রটি পরিষ্কার জায়গায় রাখুন। এর উপরে কলাশ রাখুন এবং অবশেষে কলাশের উপরে নারকেল স্থাপন করুন। এই কলশ ঈশ্বরের প্রতীক।
- পূজা ও পরিচর্যাঃ কলশ স্থাপনের পর দেব-দেবীকে আহ্বান করে যথাযথভাবে পূজা করুন। পূর্ণ 9 দিন কালাশ মন্দিরে রাখুন এবং সকাল-সন্ধ্যা জল ঢালতে থাকুন যাতে বার্লি অঙ্কুরিত হয়। এই আচারটি সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনতে বলে মনে করা হয়।
কলশ প্রতিষ্ঠা মন্ত্র-
নবরাত্রির (শারদীয়া নবরাত্রি) শুভ উপলক্ষ্যে কলশ স্থাপন করার সময়, নিম্নলিখিত মন্ত্রগুলি পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। প্রথমত, কলশ স্থাপন করার সময় এই মন্ত্রটি জপ করুন :
“ওম আ জিঘরা কলশম মাহ্যা ত্বা বিশ্বন্তিন্দাভঃ। পুনরুর্জা নি বর্তস্ব সা না সহস্রম্ ধুক্ষ্ভরুধরা পয়স্বতী পুনর্মা বিশতাদ্রয়িঃ।
এর পরে, কলশে পবিত্র জল নিবেদন করার সময় এই মন্ত্রটি জপ করুন:
“ওম বরুণস্যোত্তম্ভনামসি বরুণস্য স্কম্ভসর্জনী স্থো বরুণস্য ঋতসদন্যমাসি বরুণস্য ঋতসদনমাসি বরুণস্য ঋতসদনমা সিদ।”
Durga Stotram: মহিষাসুর মর্দিনী স্তোত্রম পাঠ করা ভয় দূর করবে এবং শান্তি দেবে।
শারদীয়া নবরাত্রি পূজা সমগ্রীর সম্পূর্ণ তালিকা
শারদীয়া নবরাত্রি, 3 অক্টোবর, 2024 থেকে শুরু হচ্ছে, একটি ধর্মীয় উৎসব যা দেবী দুর্গার নয় দিনের উপাসনার জন্য নিবেদিত। এই পূজার জন্য বিশেষ উপকরণের প্রয়োজন হয়।
- দেবী দুর্গার প্রতিমা বা ছবি
- মাটির বা অষ্টধাতু কলশ
- মৌলি, কলশ, আর পাঁচটি আমের পাতা
- রোলি, মুদ্রা, খাঁটি কাদামাটি
- লাল কাপড়, গম, গঙ্গার জল, অক্ষত
- পিতল বা মাটির প্রদীপ, বার্লি বা গম
- কয়ার নারকেল, তুলা এবং বাতি
- লাল চুনরি, চুড়ি, পায়ের পাতা, কানের দুল, সিঁদুর, মাহওয়ার, বিন্দি, কাজল, লালতা, সুগন্ধি, মেহেদি, ফুলের মালা, ঝাঁঝরি
- আম কাঠ, হবন কুণ্ড, কালো তিল, কুমকুম, অক্ষত, ধূপ
- হবনে পঞ্চমেব, গুগ্গল, লবঙ্গ, নৈবেদ্য
- বিশুদ্ধ জল, ঘি, সুপারি, কর্পূর, কমলগট্টা
Shri Durga Chalisa || শ্রী দুর্গা চালিসা ||
পঞ্চোপচার পূজা
পঞ্চোপচার পূজা পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যাতে পাঁচ ধরনের আচার জড়িত: সুগন্ধি প্রয়োগ করা, ফুল দেওয়া, ধূপ জ্বালানো (লোবান), আরতি করা এবং নৈবেদ্য (ভোগ) দেওয়া। এই পদ্ধতিতে, প্রথমে পাঁচটি প্রধান দেবতার পূজা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ভগবান গণেশ, ভগবান শিব, মা দুর্গা (ভবানী, পার্বতী), ভগবান বিষ্ণু এবং সূর্যদেব। পঞ্চোপচার পূজা, যদিও সাধারণ, অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হয়, কারণ এটি ভক্ত এবং দেবতার মধ্যে আধ্যাত্মিক সংযোগকে শক্তিশালী করে। এই পদ্ধতিতে, প্রতিটি পদক্ষেপ ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে সম্পাদিত হয়, যা পূজাকে সম্পূর্ণ এবং কার্যকর করে তোলে।
উপসংহার :- শারদীয়া নবরাত্রি কলশ স্থাপনা বিধান ও মন্ত্র।
আমরা আশা করি যে আপনি আমাদের দ্বারা লেখা এই নিবন্ধটি পছন্দ করেছেন (শারদীয়া নবরাত্রি পূজা, কলাশ স্থাপনা বিধান এবং মন্ত্র)। আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে অনুগ্রহ করে কমেন্ট বক্সে লিখুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এই ধরনের আরও উত্তেজনাপূর্ণ নিবন্ধের জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইট আবার দেখুন , ধন্যবাদ।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী :- শারদীয়া নবরাত্রি কলশ স্থাপন বিধি ও মন্ত্র
প্র. শারদীয়া নবরাত্রি কখন পালিত হয়?
উত্তর: শারদীয়া নবরাত্রি পালিত হয় আশ্বিন মাসে, যা সাধারণত সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে পড়ে। ফসল তোলার মৌসুমের শুরুর সঙ্গে এই উৎসবের সম্পর্ক রয়েছে।
প্র: ঘট স্থাপনের শুভ সময় কোনটি?
উত্তর: 2024 সালে শারদীয়া নবরাত্রির সময় ঘট স্থাপনের শুভ সময় সকাল 6:19 থেকে 7:23 পর্যন্ত। এ সময় দেবী দুর্গার আরাধনায় কলশ স্থাপন করা হয়।
প্র. শারদীয়া নবরাত্রি পূজা পদ্ধতিতে কী অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: পূজা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে স্নান, পূজার স্থান তৈরি, মন্ত্র উচ্চারণ , ষোড়শপচার পূজা, আরতি, উপবাস পালন, সাত্ত্বিক খাবার এবং নিয়ম মেনে চলা।
প্র: কালাশ তৈরির গুরুত্ব কী?
উত্তর: কলশ নির্মাণ শুভ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। এটি দেব-দেবীদের আবাহন করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং উপাসনার স্থানের পবিত্রতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
প্র: শারদীয়া নবরাত্রিতে উপবাসের গুরুত্ব কী?
উত্তর: নবরাত্রির সময় উপবাস রাখা ভক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক। ভক্তরা ফল বা দুধ খায়, যাতে তারা তাদের মানসিক এবং আধ্যাত্মিক লক্ষ্যগুলিতে মনোনিবেশ করতে পারে।
প্র: পুজোর সামগ্রীর মধ্যে কী অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: পূজার উপকরণের মধ্যে রয়েছে মা দুর্গার মূর্তি, কলশ, মৌলি, গঙ্গাজল, রোলি, লাল কাপড়, গম এবং প্রদীপ। এই সমস্ত জিনিসগুলি পুজোর আচার-অনুষ্ঠানকে বাড়িয়ে তোলে।